তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটসের জীবনে আবারও প্রেম এসেছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। পলা হার্ড নামের নারীর প্রেমে মজেছেন তিনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
বিল গেটস ও পলা হার্ডের ঘনিষ্টজনরা জানিয়েছেন, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ডেট করছেন এই যুগল।
গত এক বছরে বহু বার পলা হার্ডের ঝলক দেখা গিয়েছে ধনকুবের বিল গেটসের আশপাশে। ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সেই সব মুহূর্ত। তবে পরিচয় জানা যায়নি।
সম্প্রতি রহস্যের পর্দা সরিয়ে আবছায়া থেকে প্রকট হয়েছেন ‘রহস্যময়ী’ বিল-সঙ্গিনী। দুনিয়া জুড়ে ঢিঢি পড়ে গিয়েছে তাকে ঘিরে। জানা গিয়েছে, ৬৭-র বিলের ‘নতুন প্রেম’ এর নাম পলা হার্ড।
ম্যাচ শেষের পর দুজনে একসঙ্গে হাঁটতেও বেরিয়েছিলেন মেলবোর্ন শহরে। তাদের পাশাপাশি হাঁটার ভঙ্গি বলে দিচ্ছিল গাঢ় বন্ধুত্বের কথা। তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছিল বিস্তর। কিন্তু পলাকে তখনও চিনতে পারেনি সংবাদমাধ্যম। অবশেষে বিল-সঙ্গিনীর পরিচয় জানা গিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা ‘ডেইলি মেল’ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে পলাকে নিয়ে। বিল এবং পলার এক বন্ধুর কথা উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছেন, দুজনকে ইদানীং আলাদা করাই যাচ্ছে না।
বিল-পলার ওই বন্ধুই বলেছে, সংবাদমাধ্যম পলাকে রহস্যময়ী বলছে ঠিকই, তবে একটা বিষয়ে এখন আর কোনও রহস্য নেই। ওরা দু’জনেই প্রেমের সম্পর্কে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আছেন।
পলা বয়সে বিলের থেকে ৭ বছরের ছোট। তিনি এখন ৬০। এককালে নামী সংস্থার প্রযুক্তি অধিকর্তা পলা এখন একজন ইভেন্ট প্ল্যানার। বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অবসরে সমাজকল্যাণের কাজও করেন। অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছেন বহু সংস্থাকে।
বিল তার প্রাক্তন স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসের সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনেছেন ২০২১ সালে। পলাও তার স্বামীকে হারান ২০২১-এই।
ক্যান্সারে আক্রান্ত পলার স্বামী মার্ক হার্ড ছিলেন ওরাকলের প্রাক্তন সিইও। ২০২১ সালে মার্ক মারা যান। যদিও মার্কের মৃত্যুর আগে থেকেই একে অপরকে চিনতেন বিল আর পলা। নিউ ইয়র্কের উঁচু মহলের একই গণ্ডিতে ছিল তাদের যাতায়াত। ফলে বহু বার বিল-মেলিন্ডা মুখোমুখি হয়েছেন মার্ক-পলার।
ক্যান্সারে আক্রান্ত পলার স্বামী মার্ক হার্ড ছিলেন ওরাকলের প্রাক্তন সিইও। ২০২১ সালে মার্ক মারা যান। যদিও মার্কের মৃত্যুর আগে থেকেই একে অপরকে চিনতেন বিল আর পলা। নিউ ইয়র্কের উঁচু মহলের একই গণ্ডিতে ছিল তাদের যাতায়াত। ফলে বহু বার বিল-মেলিন্ডা মুখোমুখি হয়েছেন মার্ক-পলার।
ওরাকলের আগে কম্পিউটার এবং প্রিন্টার প্রস্তুতকারী সংস্থা হিউলেট-প্যাকার্ডের সিইও ছিলেন মার্ক। তবে একটি যৌন হেনস্থার অভিযোগের জেরে ২০১০ সালে তাকে ওই সংস্থা ছাড়তে হয়। তবে তার পরও একসঙ্গেই ছিলেন মার্ক এবং পলা।
অন্য দিকে, বিলের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন তার সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ার। ২০২১ সালে মেলিন্ডার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের সময়েও বিল বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। এমনকি, একটি সূত্রে এমনও জানা যায় যে, বিল নিজের সংস্থার এক আর এক কর্মীকে তার সঙ্গে একটা দিন কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন।