বাংলা চলচ্চিত্রের যে সোনালি যুগ নিয়ে আজো সবাই গর্ব করেন, সেই যুগের অন্যতম স্রষ্টা কিংবদন্তি নায়ক ফারুক আর নেই। দীর্ঘ প্রায় পঞ্চাশ বছর বাংলা সিনেমাকে বহু দানে সমৃদ্ধ করে বিদায় নিয়েছেন তিনি। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার তার মৃত্যু হয় (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী দুই সন্তানসহ অগণিত ভক্ত-অনুরাগী রেখে গেছেন।
চিরসবুজ অভিনেতা ছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। একাত্তরে অস্ত্র হাতে লড়াই করেছেন। প্রথম জীবনে রাজনীতি করতেন এবং শেষ জীবনে এসে ঢাকার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
নায়ক ফারুকের ছেলে রওশন হোসেন পাঠান জানান, সিঙ্গাপুরে স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়, বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৩০ মিনিটের দিকে তার বাবার মৃত্যু হয়। মরদেহ আজ ভোরের ফ্লাইটে ঢাকায় আনা হবে। সকাল ৮টায় ইউএস বাংলার একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকায় আসবে। বিমানবন্দর থেকে মরদেহ গুলশানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে বেলা ১১টায় মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানো হবে। জাতীর পক্ষ থেকে তার কফিনে ফুল দিয়ে জানানো হবে শেষ শ্রদ্ধা। শ্রদ্ধা নিবেদন পর্বের আয়োজন করবে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।
মহানায়ক ফারুকের মরদেহ এরপর তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে নিয়ে যাওয়া হবে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ জানান, বাদ জোহর সেখানে একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে গুলশান আজাদ মসজিদে।
অবশ্য রাতে নায়ক ফারুকের মেয়ে ফারিয়া তাবাসসুম পাঠান তুলসী জানিয়েছেন, জানাজার বিষয়ে পারিবারিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার তুমালিয়া ইউনিয়নে পারিবারিক কবরস্থানে ফারুককে দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেন তিনি।