পরিবেশের বিপর্যয় ও নাব্যতা সংকটের কারণে জামালপুরের মাদারগঞ্জের যমুনা নদীর বৈরালি মাছ এখন বিলুপ্তির পথে। এক কালে এই মাছ যমুনা নদীর একমাত্র সুস্বাদু মাছ ছিল। যা বৈরাল বা স্থানীয় ভাষায় শৈরালী নামেই পরিচিত। তবে সম্প্রতি বিপন্ন তালিকায় এই মাছের নাম এসেছে।
যমুনায় মাছ শিকারি দুলালসহ জেলেরা জানান, আগে যমুনায় বন্যায় নতুন পানি এলে ঝাঁকে ঝাঁকে ছোট ছোট শৈরালী মাছ পাওয়া যেত। এই মাছের ক্রেতাও ছিল প্রচুর। শীত মৌসুমে মাছগুলো একটু বড় ও শরীরে তেল জমে গেলে এই মাছ খুবই সুস্বাদু হতো। এ কারণে এই মাছ এলাকায় প্রসিদ্ধ ছিল। বর্তমানে এই মাছ পাওয়াই কষ্টকর।
তিনি জানান, বিগত কয়েক বছর ধরে যমুনা নদীতে জাল ফেলে এই মাছ পাওয়াই যাচ্ছে না। মৎস্য অধিদপ্তর ও উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, শৈরালী বা বৈরাল মাছের বৈজ্ঞানিক নাম-বারিলিয়াস বারিলা। এটি মূলত স্বচ্ছ পানির মাছ। পাহাড় বেয়ে নেমে আসা নদী তিস্তা ও ধরলা নদীতে এই মাছ পাওয়া যায়। তিস্তা-ধরলার ধারা নামায় যমুনা নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদে এই মাছ কিছু পরিমাণে এই মাছ পাওয়া যায়। বৈরালি মাছ সর্বোচ্চ ৬-৭ ইঞ্চি বা ১০ সেন্টিমিটার লম্বা এবং প্রস্থে প্রায় ১ ইঞ্চি আকারের হয়ে থাকে। রূপালি রঙের মাছটির গায়ে ছোট ছোট আঁশ, পিঠের রং হালকা মেটে। পেটের নিচে হলুদ দাগ থাকে। মাছটির পুঁটি মাছের মতো কাঁটা থাকলেও তা খুবই নরম। বৈরালি মাছ গ্রীষ্মকালীন সময়ে বংশ বিস্তার করে থাকে। মাদারগঞ্জ উপজেলার প্রধান বাজার বালিজুড়ি মাছের আড়ৎদার সোবাহান মিয়া জানান, এই শৈরালী মাছ এখন পাওয়াই দুস্কর। যদি পাওয়া যায় তা কেজি দরে এক থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোঃ সোহেল
রানা।
নির্বাহী সম্পাদক: ডাঃ ফজলুর রহমান
(সবুজ)